সবশেষ সাকিব আল হাসানকে দেখা গিয়েছিল ক্রিকেট মাঠে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর, আবুধাবি টি-টেন লিগে। এরপর কেটে গেছে ঠিক ১৬৯ দিন। সেই বিরতির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় রাওয়ালপিন্ডিতে পেশোয়ার জালমির মুখোমুখি হবে লাহোর কালান্দার্স। সেখানেই দেখা যেতে পারে সাকিবকে—নতুন দলের জার্সিতে, পুরনো ছন্দে ফেরার চেষ্টায়।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলার জন্য ইতোমধ্যেই ইসলামাবাদ পৌঁছেছেন সাকিব। দীর্ঘ সময় খেলার বাইরে থাকলেও নিজেকে ফিট রাখতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময়ও অনুশীলন চালিয়ে গেছেন তিনি। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসেও অনুশীলনে ঘাটতি রাখেননি।
আর ভাগ্যের যেন নিখুঁত পরিকল্পনা—ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনায় কিছুদিনের জন্য স্থগিত হয়েছিল পিএসএল। ফের শুরু হওয়া লিগে কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার অংশ না নেওয়ায় সুযোগ আসে সাকিবের সামনে। লাহোর কালান্দার্স তাকে স্কোয়াডে যুক্ত করে। অলরাউন্ডার হওয়ার সুবাদে আজকের ম্যাচেই একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
সাকিব বললেন, "পিএসএলে খেলতে পারাটা দারুণ এক সুযোগ। কালকের (আজ) ম্যাচের জন্য আমি প্রস্তুত ও রোমাঞ্চিত। আশা করি ভালো কিছু হবে।"
তবে মাঠে ফেরার এই যাত্রা ছিল না একেবারে সহজ। গেল বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর একপ্রকার কোণঠাসা অবস্থায় পড়েন সাকিব। তিনি ছিলেন দলটির একজন সংসদ সদস্য। ক্ষমতার পালাবদলের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। যদিও ভারত ও পাকিস্তানে সফরে বাংলাদেশের হয়ে খেলেন, এরপর তাকে আর সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সাকিবের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ভারতের কানপুরে—গত বছরের অক্টোবরের টেস্ট ম্যাচ। এরপর দেশে অবসরের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দেশে ফিরতেও বাধা পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া, সম্প্রতি ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে জটিলতায় পড়েন। একাধিক পরীক্ষার পর তার অ্যাকশন বৈধ ঘোষণা করা হলেও তখনো মাঠে ফেরার পথ খোলা হয়নি।
পিএসএলে সেই প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে আজ। ১৬৯ দিন পর আবার মাঠে নামছেন সাকিব আল হাসান। তার ব্যাটে-বলে কী বার্তা থাকবে—তা দেখার অপেক্ষায় পুরো ক্রিকেটবিশ্ব, আর ভক্তদের চোখ থাকবেই টিভি স্ক্রিনে।